বাঁধ যখন মরণ ফাঁদ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সিলেটের ফেঁঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদর ও কয়েকটি গ্রামকে বন্যা থেকে রক্ষায় ২০০৫ সালে কুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওরের মাঝখানে বুড়িকিয়ারিতে নির্মাণ করা হয় বাঁধ। এই বাধঁটি এখন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানকার মানুষের অভিযোগ, এ বাঁধের ফলে হাওরের পানি বের হতে না পেরে উল্টো দিকে প্লাবিত করছে গ্রামের পর গ্রাম।দেখা দিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।

যে বাঁধ নিয়ে এতো কথা সেই বুড়িকিয়ারি বাঁধ এটি। কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার মানুষের অভিযোগ, হাকালুকির এই পাড়ে এ বাঁধটি নির্মাণের কারণে হাওরের পানি গিয়ে কুশিয়ারা নদীতে মিশতে পারছেনা। এ কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তিনটি উপজেলা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। তবে নদীর এপাড়ের ফেঁঞ্চুগঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন, বাঁধটি উঠিয়ে দিলে তাদের বাড়িঘর কুশিয়ারায় বিলীন হয়ে যাবে।

ফেঁঞ্চুগঞ্জের সংসদ সদস্য মনে করেন, বাঁধের জন্য নয়, জুড়ি নদীর মুখ ছোট হয়ে যাওয়া এবং কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হওয়ায় হাওরের পানি বের হতে পারছেনা। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বাঁধটি ভেঙ্গে দেয়ার জন্য মৌলভীবাজার থেকে চাপ আসছে। বন্যার পানি নামার পর এলাকা ঘুরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চলতি বন্যার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখার পানি জমে আছে বর্ষার শুরু থেকে। বুড়িকিয়ারি বাঁধ দেয়ার আগে এমন অবস্থায় কখনো পড়তে হয়নি বলে দাবি তিন উপজেলার মানুষের।

সূত্র ঃ সময় টিভি

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর